সফল মার্কেটিং কন্টেন্ট তৈরি করতে চান? তাহলে এই দুইটি জিনিসের গুরুত্ব না বুঝলে চলবে না! পাঠকের মন জয় ও সমস্যার সমাধান—এই দুটি হচ্ছে আপনার কন্টেন্টের আসল শক্তি। এখনই জেনে নিন বিস্তারিত।
আপনি যদি একটি ভালো মার্কেটিং কনটেন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে দুটি জিনিসের ওপর আপনাকে জোর দিতে হবে। এক, কীভাবে লিখতে হয়। এবং দুই, কীভাবে সত্য ঘটনা গল্পের মতো করে সাজাতে হয়। আপনি কোথায় লিখছেন, তা মুখ্য নয়। যেখানেই লিখুন না কেন, লেখার কৌশল আপনাকে রপ্ত করতেই হবে। ভালো লেখা মানে এখন শুধু লেখা না, এটা একটা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মার্কেটিং কনটেন্ট তৈরিতে লেখার মাধুর্যের বিষয়টি অনেকখানি উপেক্ষিত এখনও।।
কনটেন্ট কী?
কনটেন্ট মানে শুধু ওয়েবসাইট, পণ্যের বিবরণ, ব্লগ বা ই-মেইলের লেখা নয়। যতগুলো ব্যাপারকে আমরা মার্কেটিংয়ের অন্তর্গত বলে মনে করি, আদতে কনটেন্ট তার চেয়েও বিস্তৃত একটি বিষয়। আপনার গ্রাহক যত কিছু স্পর্শ করে বা যতভাবে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে-কনটেন্টের বিস্তৃতি সবখানেই। যেমন ধরুন ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব-সবখানেই কনটেন্টের অবাধ যাতায়াত।”কনটেন্ট হচ্ছে ব্যবহারকারীর সমস্ত অভিজ্ঞতা,”
আমরা কতটা স্মার্ট বা বোকা, তা আমাদের লেখার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। শুধু তাই নয়, একটা লেখাই বলে দেয় যে এর লেখক কতটা সক্ষম বা কতখানি বিশ্বস্ত। আবার লেখার মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে আমাদের অন্তরের অস্থিরতা। তবে অন্যদিকে আবার এই লেখাই হয়তো দুনিয়ার সামনে আমাদের বিরক্তিকর, বিব্রতকর হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে। সেজন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। যেমন সঠিক শব্দ চয়ন, লেখার সময় পাঠকের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা ইত্যাদি।
এতকিছুর পরেও মাঝেমাঝে দেখা যায়, অনেক মার্কেটার লেখাকে অবহেলার চোখে দেখে। একবার ভাবুন তো, যদি কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এসে দেখে সেখানে ব্র্যান্ডিং (লোগো, ট্যাগলাইন ইত্যাদি) বলে কিছু নেই, তাহলে সে কীভাবে এটিকে আপনার বলে চিনবে? চিনবে আপনার তৈরি শব্দ দিয়ে। শব্দই আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের মধ্যে শক্তিশালী একটা অবস্থান করে নিতে সাহায্য করবে।
শব্দ প্রকৃতপক্ষে আমাদের দূত, কিংবা বলা যেতে পারে, রাষ্ট্রদূত। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলো শব্দেরাই বহন করে।
“শব্দই আমাদের প্রতিনিধি, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড়ো খুঁটি,”