ভালো লেখক হতে চাইলে শুধু লিখলেই হয় না। আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে দুইটি মূল দক্ষতার ওপর—যা আপনার লেখাকে করবে স্মরণীয়, পাঠকের মনে গেঁথে যাবে দীর্ঘ সময়। জানতে চান সেই দুটি গোপন চাবিকাঠি?
আপনার লেখা এবং কিছুটা হলেও গর্বিত হয় আপনার জন্য। কিন্তু তার আগে আপনাকে সেই জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে হবে। এখানে আপনার লেখার মধ্যে একটা পরিবর্তন আনতে হবে ধীরে ধীরে।
অনলাইনে যারা নিয়মিত, তারা কোন ধরনের শব্দ বেশি ব্যবহার করে, কী বিষয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কিংবা কখন কোন ট্রেন্ড অনুসরণ করে, এগুলো খেয়াল রাখতে হবে আপনার।
আরও ভাবতে হবে লেখক হয়ে ওঠার পেছনে আপনার সবচেয়ে বড়ো বাধা কোনটি বলে আপনি মনে করেন। বেশিরভাগ মানুষই সবচেয়ে বড়ো বাধা হিসেবে দেখে ভয়কে। কারও থাকে আত্মবিশ্বাস কিংবা জ্ঞানের অভাব। আবার কেউ কেউ সবগুলোতেই সমানভাবে আক্রান্ত।
স্টিফেন কিং তার অন রাইটিং বইয়ে লিখেছেন:
“আপনি যদি একজন লেখক হতে চান, তবে আপনাকে দুটি বিষয়কে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এক, প্রচুর পড়ুন এবং দুই, প্রচুর লিখুন।”
যাই হোক, এই ‘নিয়মগুলো’ শুধুমাত্র কার্যকরী কিছু টুল বা কৌশল হিসেবে দেখার অনুরোধ করছি। ইচ্ছে হলে প্রয়োজন মতো আপনি নিয়ম ভঙ্গ করতে পারেন।
আমাদের রাইটিং মাসল বা লেখার পেশীগুলো জট বেঁধে থাকে। এই পেশীগুলোকে সহজ করার জন্য সবচেয়ে বড়ো নিয়ামক হচ্ছে প্রতিদিন লেখা। শিল্পের তাগিদ থেকে লেখা নয়, লেখার অভ্যাস তৈরি করা এবং অভ্যাস থেকে রোজ লেখা।
যখন আপনি প্রতিদিন লেখার অভ্যাস গড়ে তোলার কথা ভাববেন, তখন দেখবেন এটা খুবই সহজ কাজ। অন্য কোথাও বড়ো পরিসরে কিছু লেখার কথা বলছি না।
আপনি লিখুন আপনার দৈনন্দিন প্ল্যাটফর্মগুলোতে। যেমন, ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামে। বিষয়টিকে একটি ওয়ার্কআউট হিসেবে দেখেন। শুধু মনোযোগ দেবেন প্রতিদিন নিয়মিত করছেন কিনা, বাকিটা সময়ই আপনার ফিটনেস বদলে দেবে।
প্রথমে এই লেখাগুলোকে আপনি শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই দেখবেন, তারপর অভ্যস্ত হয়ে গেলে, আস্তে আস্তে কনটেন্ট বা আইডিয়া নিয়ে লিখতে চেষ্টা করতে পারেন।
ভূমিকাতেই আমি বলেছি, শব্দ হচ্ছে আপনার প্রতিনিধি। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে আপনার মনের কথা জানাতে পাঠিয়ে দিন আপনার প্রতিনিধিদের।
আমি খুব করে চাইব আপনার পাঠক কিংবা শ্রোতারা যাতে উপভোগ করে